ভাসানচরই সেরা জায়গা, স্বজনদেরও আসতে বলছেন রোহিঙ্গারা

কমল দে, সময় নিউজ •

ভাসানচরে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গারাই এখন ভিডিও কলে নিজেদের ভালো থাকার অবস্থা জানিয়ে টেকনাফ-উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের আসার আহ্বান জানাচ্ছে। এরই মধ্যে আরও কিছু পরিবার ভাসানচরে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে শরণার্থীবিষয়ক কমিশনে নাম নিবন্ধন করেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাদের নিয়ে আসা হবে।

রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিন মোবাইলের ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন উখিয়ার কতুপালং ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের সঙ্গে। মূলত ভাসানচরের নতুন আশ্রয়কেন্দ্রে নিজেদের ভালো থাকার অবস্থা জানিয়ে বাকি স্বজনদেরও চলে আসার আহ্বান জানান তিনি।
শুধু নুরুল আমিন নয়, ভাসানচরে আসা অধিকাংশ রোহিঙ্গা পরিবারের সময় কাটছে টেকনাফ-উখিয়ার স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে। এ বিষয়ে সেখানে থাকা এক রোহিঙ্গা বলেন, ভাসানচর আমার দেখা সেরা জায়গা। রোহিঙ্গা যাদের ভালো লাগে তারা এখানে চলে আসেন।

আরেক রোহিঙ্গা বলেন, আমাদের মনে হয়েছিল সাগরের পাশে পানি উঠবে। এখানে এসে দেখলাম সাগর অনেক দূরে। পানি উঠবে না।

ইতোমধ্যে ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গা পরিবারগুলো নিজেদের অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে। বাসার সামনে খোলা জায়গায় খেলতে শুরু করেছে রোহিঙ্গা শিশুরা। তবে শিক্ষা ও চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি তাদের।

এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা নারী বলেন, আমরা ঘর পাইছি, তিনবেলা খাবার দেয়। সবকিছুই নতুন। আমাদের ভালো লাগছে। আরেক নারী বলেন, বিল্ডিং দেখছি, অনেক মানুষ। হাঁস পালন করা যাবে। আমাদের সন্তানরা খেলা করছে।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শিক্ষাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গাদের উন্নয়নে কাজ শুরু করবে জানালেন ভাসানচরের প্রকল্প পরিচালক কমডোর আবদুল্লা আল মামুন। তিনি আরও জানান, এখানে যে খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা কক্সবাজারের যারা থাকে, তাদের চেয়েও ভালো থাকবে।

নোয়াখালীর ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা আবাসনে ব্যবস্থা করা হলে প্রথম বহরে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নৌবাহিনীর সহযোগিতায় শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়।